নারীরা কি ছাত্রী সংস্থায় ও জামায়াত ইসলামীতে বেশী নিরাপদ
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ০৫ মে, ২০১৮, ০৩:২৯:১৭ রাত
জেলা আমির কন্ট্রাক ছিল।সেখানে গিয়ে দেখি দুজন বোন
রুকনিয়াতের শপথ নিতে এসেছেন।তাদের মধ্য একজন হচ্ছেন
এদেশের নামকরা একজন পুলিশের বউ।আংকেল যেই শুনলেন যে
উনি একজন পুলিশের স্ত্রী,, অমনি শুরু করলেন হাজারো প্রশ্ন।
বোনটার একটাই উত্তর ছিল সেটা হচ্ছে... আমি আমার স্বামীর
অনুমতি নিয়াই রুকন হতে এসেছি,দয়াকরে এই জান্নাতি
কাফেলায় আমায় শামিল করুন।উনার কথা শুনেই আমার মনে পড়ে
গেলো আমি যখন ২০১৫ সালে রুকনিয়াতের শপথ নিয়েছিলাম।
তখন শুধু জিজ্ঞেস করা হতো হাসব্যান্ডের অনুমতি আছে কিনা।
থাকুক বা না থাকুক প্রত্যেকেই হ্যাঁ সূচক জবাব দিতো,, সমস্যা
গুলো হতো পরবর্তীতে। এমন সব পরিস্হির স্বীকার হতে দেখেছি
অনেক বোন কে। যারা শেষমেশ ডিভোর্স কে বরন করে নিতে
হয়েছে নতুবা শপথ ভেংগে ইসলামি আন্দোলন ছাড়তে হয়েছে।
হয়তোবা সেসব পরিস্হিতি গুলোর জন্যই এখন আরো কঠিন ভাবে
জিজ্ঞাস করা হয়।শুধু তাই নয়,,হাসব্যান্ডের সাথে ফোনে বা
সরাসরি কথা বলে নিচ্ছেন আমীর সাহেব।যাইহোক সে বোনকে
আংকেল বল্লেন আচ্ছা আপনার স্বামীর যেহেতু অনুমতি আছে
সেহেতু উনার সাথে আমার কথা বলিয়ে দিন।বোনটি দেরি না
করে উনার হাসব্যান্ড কে কল দিলেন,, মোবাইল টা লাউড
দেওয়ায় আমরা সব কথা গুলো শুনতে পাই। আংকেল উনাকে
সালাম দিয়েই পরিচয় দিলেন,,এবং বল্লেন ভাই পুলিশ...আপনার
স্ত্রী যে জামায়াতে ইসলামের রুকন হতে আসছে আপনি কি
সেটা জানেন..? পুলিশ বল্ল জ্বী স্যার আমি জানি।আংকেল
বল্লেন কিন্তু আপনার তো বাধা দেওয়ার কথা ছিলো,, যেহেতু
আপনাদের দৃষ্টিতে জামায়াত ইসলাম একটা রাজাকারের
গুষ্ঠি।তাদের তো এদেশে সুস্হভাবে বেঁচে থাকার অধিকার
নেই।আপনাদের একটা ক্রসফায়ারেই তাদের জীবন প্রদীপ টা
নিভে যায় পড়ে থাকে নিথর দেহটা,, বিচার পাবার অধিকার
টুকু থেকেও আপনারাই তাদের বঞ্চিত করেন।এবার আংকেলকে
থামিয়ে দিয়ে পুলিশ লোকটা বল্ল দেখুন স্যার আমরা সরকারের
চাকুরী করি তাই তার কথামতো কাজ করি, কিন্তু কোনটা ভুল
আর কোনটা সঠিক তা বোঝার মতো জ্ঞান আল্লাহ আমাদেরকে
ও দিয়েছেন।চাকুরী জন্য মাসের পর মাস বাসায় যেতে পারিনা
স্ত্রী কন্যাকে সময় দিতে পারিনা।প্রতিনিয়ত টেনশন ফিল
করি, একটি রাতও শান্তিতে ঘুমাতে পারিনা এই ভেবে,, কখন
যেন স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।কখন যেন বাসায়
বাচ্চাগুলারে রেখে আমার সমুদয় সম্পদ গুলো নিয়ে পালিয়ে
যায়।তাইতো সিদ্ধান্ত নিয়েছি বৌ টাকে আপনাদের এই
কাফেলার কর্মী বানিয়ে বাকি জীবনটা একটু নিশ্চিন্তে
ঘুমাবো।কারন আমি ভালো করেই জানি এই কাফেলায় যে সব
মহিয়সিনীরা আছেন তারা জীবন দিয়ে ও নিজের আব্রু নিজের
ইজ্জতের হেফাজত করবে।জেলা আমীর আংকেল অশ্রুসিক্ত
নয়নে পুলিশ ভাইটাকে সালাম জানিয়ে ফোনটা কেটে দিলেন।
কাঁন্না জড়ানো কন্ঠে বল্লেন ওরাও জানে আমরা নির্দোষ তবুও
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদ করে দিল আমাদেরই কলিজার টুকরো
ভাই গুলোকে।বন্ধী করে রাখলো কোটি মুসলমানের নয়নের মনি
কোরআনের পাখি আল্লামা সাঈদী সহ অগনীত কোরআন
প্রেমিক কে,,তবুও আমরাই সফল আলহামদুলিল্লাহ।
#Fatema_Noor
কপি করা হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন