পরীক্ষা শুরুর আগেই ফেসবুকে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়লেও প্রশ্ন ফাঁসের কোনও প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডএসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষায় সরবরাহ করা প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়ার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছে সংস্থা দুইটি।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সারাদেশে একই প্রশ্নে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা আগেই ফেসবুকে বহু নির্বচনী অভীক্ষার (এমসিকিউ) ‘খ’ সেট প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের এ অভিযোগ গণমাধ্যমকর্মীরা অবহিত করেন শিক্ষামন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখে সাংবাদিকদের জানান, মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই। এরপর ফাঁস হওয়া অন্য একটি সেট মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিলে গেছে জানিয়ে সেটি মিলিয়ে দেখার অনুরোধ করা হয় মন্ত্রীকে।
সকাল ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘ফেসবুকে ছড়ানো প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নের মিল নেই। আমি মিলিয়ে দেখেছি। বিষয়টি মিথ্যা ও গুজব। তবে যে ব্যক্তি এই প্রশ্নটি পোস্ট করেছেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা এরই মধ্যে এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।’
ফাঁসকারীদের ফেসবুক পেজের বিষয়টি অবহিত করা হয় মন্ত্রণালয়কেও। গণমাধ্যমকর্মীদের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো পর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব চৌধরী মুফাদ আহমেদ বলেন, ‘ফাঁস হয়ে থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
এ বিষয়ে উপসচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা শিক্ষা বোর্ডকে জানাব, মূল প্রশ্নপত্র এনে মিলিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো। এ বিষয়ে পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বাংলা ট্রিবউনকে বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনও নিউজ পাইনি। আমার কাছে কোনও অথেন্টিক খবর নেই।’
এদিকে, পরীক্ষা শুরুর আগে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে।’ প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি পরে প্রমাণ হলেও পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, বাংলা প্রথম পত্রের ‘খ’ সেটের ফাঁস হওয়া প্রশ্নটি ফেসবুকে পাওয়া যায় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে। প্রশ্নটি এরপর থেকে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে ছড়াতে থাকে।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন